
নিরন্তর আমি পদাঙ্ক অনুসরণ করি
আমার ছায়াকে;
ক্রমাগত আমি হেঁটে চলি আমার ছায়ার সঙ্গে।
হাঁটি আর ভাবি
এটা আমার ছায়া নাকি ছায়ার আমি।
ছায়ার সাথে আমার যুদ্ধে
জীবনভরই হেরে যাই আমি;
বেঁচে থাকি ছায়ামানুষ হয়ে।
পূর্বাহ্নের ডগমগে সূর্যের কিরণ
যখন আমার শরীর বরাবর—
আমার ছায়া আমাকে ছাড়িয়ে বহুদূর—
যেন সে ডেকে বলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে
আমার মতো দীর্ঘ আকার ধারণ করো।
তখন আমার অতি আবেগি মন
ভাবতে ভাবতেই সূর্য মধ্যগগনে—
সমস্ত আস্ফালন হাওয়ায় মিলিয়ে
দায়িত্বভারে নুব্জ ছায়া শরীরের গন্ধে
মুখ ফিরিয়ে খর্বকার।
দ্রুত সূর্য আপন গতিতে পশ্চিম দিগন্তে হেলে পড়ে
অভিজ্ঞতার ছায়া আবারও দীর্ঘ হতে হতে—
শরীর ছাড়িয়ে মন্দির মসজিদ প্যাগোডা বরাবর—
কিন্তু সময় সংক্ষিপ্ত
এখনই সূর্য ডুবে যাবে কালের গহীনে।
ছায়াও গ্রাস করবে শরীরকে।
নিঃসীমতায় ঢেকে যাবে সমস্ত অলংকার।
অতঃপর—
!
!
!
ছায়া ছবি রূপ নেবে ছায়াছবিতে।