
জিন্স আর টপস্ পরে শেলী যখন স্কুটিতে বসে ড্রাইভ করে সে মাইরি দেখার মতো দৃশ্য! কানাগলিতেও জমজমাট ভীর জমে যায় মর্ডান মালটাকে একনজর দেখবে বলে। ছেলে-ছোকড়ার কথা তো বাদই বুড়োদের পর্যন্ত জিভ বেরিয়ে লালা ঝরে। শেলীর ছেলে বন্ধুরা এক-একজন, এক-একদিন স্কুটির পেছনে উঠে স্বর্গের সুখ লাভ করে। থিয়েটার, সিনেমা, পার্কে নিত্যনতুন বয়ফ্রেন্ডকে দে-দারছে প্রতিদিন ভাঙিয়ে ফকির করে দেয় শেলী। শহরের সেরা সেরা সুন্দরীরাও আড়চোখে স্কুটি সুন্দরীর লাইফস্টাইলে ফিদা হয়ে যাচ্ছে…
বিকেল থেকে বর্ষা বাড়তে লাগলো। শেলী বয়ফ্রেন্ড ফুয়াদের রুমে বসে চানা আর হুইস্কি খাচ্ছে। ফুয়াদের ভরপুর নেশা হয়ে গেছে! লাল চোখে সে তাকিয়ে আছে শেলীর অপূর্ব ঘোর লাগা চোখে।
রাত দশটায় রহিম শেখ, শেলীর বাবা; সিগারেট হাতে এমাথা-ওমাথা ব্যালকনি চষে বেড়াচ্ছেন। শেলীর মা হাসিনা, নর্দান ক্লিনিকে অপারেশন রূমে। আজ হাসিনা শেখের পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা হয়েছে। দুপুরে চল্লিশ হাজার টাকা বাবার হাতে দিয়ে শেলী সেজেগুজে বের হয়েছে। রহিম শেখ রিটায়ার্ড করার পর তিন কন্যার বড়োজন শেলী-ই সংসারের হাল ধরেছে। রহিম শেখ সব বুঝেশুনেও চুপ করে থাকেন, তাকে চুপ থাকতে হয়!
রাত বারোটার দিকে পুলিশের জীপ এসে বাসার গেটে দাঁড়ালো। একজন এস আই কলিং টিপতেই বেরিয়ে এলেন রহিম শেখ। শান্তভাবে জানতে চাইলেন কি হয়েছে? এস-আই রমেজ তারো অধিক শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো শেলী কি আপনার মেয়ে? রহিম শেখ প্রায় হিতাহিত শূণ্য হয়ে উত্তর দিলেন, জ্বি….
আমরা শেলীর লাশটি পোস্ট মর্টেমের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি । আগামিকাল দুপুর একটা নাগাদ লাশটি রিসিভ করবেন।রহিম শেখ কাটা কলাগাছের মতো দড়াম করে মেঝেতে পড়ে গেলেন। এস-আই রমেজ হাঁটু ভাঁজ করে বসে রহিম শেখের কাঁধে হাত রাখলেন, শান্ত হোন মুরুব্বী আমরা ফুয়াদ আর ওর তিন বন্ধুকে আটক করেছি যারা গণধর্ষণ করে হত্যা করেছে শেলীকে।