আহমদ রাজু : বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯০তম মাসিক সাহিত্য সভা গত ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পঠিত কবিতা গুলো নিয়ে একুশের পত্র ১৯০তম সংখ্যা।
June 15, 2019 Leave a comment
আহমদ রাজু : বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯০তম মাসিক সাহিত্য সভা গত ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পঠিত কবিতা গুলো নিয়ে একুশের পত্র ১৯০তম সংখ্যা।
June 14, 2019 Leave a comment
মুস্তাফিজুর রহমান : বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ (বিএসপি) ১৯১তম মাসিক সাহিত্য সভা প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে ১০টায় অনুষ্ঠিত এ সাহিত্য সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. সামসুজ্জামান।
বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯১তম মাসিক সাহিত্য সভায় বক্তব্য রাখছেন বিশিষ্ট গবেষক ড. মুস্তাফিজুর রহমান
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর নূর মোহাম্মদ, বিশিষ্ট কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু, মুক্তিশ্বেরী সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি গাজী শহিদুল ইসলাম ।
সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরজাহান আরা নীতির পরিচালনায় কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদ্মনাভ অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, কাজী রকিবুল ইসলাম, রবিউল হাসনাত সজল, আবুল হাসান তুহিন, আহমেদ মাহাবুব ফারুক, অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম, নাসির উদ্দিন, সোনিয়া আক্তার চাঁপা, লায়লা বেগম, শাহরিয়ার সোহেল, সুমন বিশ্বাস, মোহাম্মদ হাতেম আলী সরদার, রাশিদা আখতার লিলি, মোছা. নার্গিস আক্তার (নাজমা), আমিন রুহুল, হোসেন আলী, আব্দুর রশিদ খোকন, আতাউর রহমান, সানজিদা ফেরদৌস, নজরুল ইসলাম, মো মোস্তাফিজুর রহমান, বৈদ্যনাথ মন্ডল, এমডি জিহাদ হাসান হৃদয়, শ্রাবণী আক্তার উর্মি, সালমা খাতুন, এএফএম মোমিন যশোরী, ইলিয়াস সাহা, আব্দুল আলিম, রেজাউল করিম রোমেল, মহব্বত আলী মন্টু, শামীম বাদল, চয়নবাবু কর, মোস্তানূর রহমান সাক্ষর প্রমুখ।
বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯১তম মাসিক সাহিত্য সভায় বক্তব্য রাখছেন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. সামসুজ্জামান
এছাড়া ১৯২ সাহিত্য সভা আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯১তম মাসিক সাহিত্য সভায় উপস্থিতির একাংশ
বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯১তম মাসিক সাহিত্য সভায় আলোচকদের একাংশ
June 14, 2019 Leave a comment
আহমদ রাজু : বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ১৯০তম মাসিক সাহিত্য সভা গত ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পঠিত কবিতা গুলো নিয়ে একুশের পত্র ১৯০তম সংখ্যা।
দূরে-বহুদূরে
শাহরিয়ার সোহেল
তোমাকে ছেড়ে আমি সন্তর্পণে চলে এসেছি দূরে-বহুদূরে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড থেকে অনেক-অনেক দূরে আমি শুধু অকল্যাণময় আমি শুধু অভিশপ্ত আমি চাইনি আমার অকল্যাণে ভিজে যাক কারোর পুষ্পিত সংসার আমি শুধু মহামারি, ব্যাপক প্লাবন তবুও সন্তর্পণে চলে এসেছি তোমাকে ছেড়ে বহুদূরে |
ঘোষণা
আহমেদ মাহবুব ফারুক
মুখের আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি সব চুলোয় দাও, আমি ঐ দুটোকে পুড়িয়ে আগুনে জ্বালবো, বেঁচে থাকার সর্বনাশী পীড়ন নির্বাসনে দাও আপাতত; কিংবা রাজপথের মোড়ে ফাঁসি দাও সদর্পে, দাদা- দয়া করুন… কথাটি চিরতরে ভুলে যাও, ব্যাটাদের বুঝিয়ে দাও- বেঁচে থাকার কি জ্বালা…। |
হয়তো
অমলেশ চক্রবর্ত্তী
পৃথিবীর প্রথম আলো দেখার পর হয়েছি এক যাযাবর। এখানে অবস্থান ক্ষণিকের, আয়ের নেশায় ঘুম নেই বণিকের। কি সুন্দর রূপ এই ধরণি! ছেড়ে যেতে চড়তে হবে তরণি। যা আছে তা থেকে যাদের দিচ্ছি তাদের কাছ থেকে কি হাসিমুখ পাচ্ছি? ওরা মনে করে আমি যে উপার্জন করছি তা কেন অবৈধভাবে করছি। অর্থাভাবে ন্যায় কথা বলা দায় কারণ দারিদ্রের সততাই যে উপায়। সম্পদশালী হয়েও যারা সমাজ উন্নয়নে মুখ ফেরায় তাদেরই বরং সমাজে দিতে নেই ঠাঁয়। সময় জলাঞ্জলি দিয়ে যে ছুটছে মিছে অর্থ নামের আলেয়ার পিছে। সে কি নিশ্চিত পাবে সফলতা? হয়তো জুটবে সৌহার্দ্যহীন বিফলতা।
|
বৈশাখের প্রতিবাদ
ড. শাহনাজ পারভীন
এবার বৈশাখে গলিত লাভায় কেমন আভা ছিল ভাতা ছিল সরকারী, প্রভা ছিল মঞ্জরিতে সুবাস ধান্য গানের ক্ষেত ভরা অথচ যারা শিল্পী! তাদের উত্তরীয়’র ঝিলিক ছিল না কোনো কারণ আমলা কিংবা কামলা নয় তারা সাধারণ জনগণ, আম জনতা- তারা ছিলো সরকারী ভাতার বাইরে
এবার বোশেখের দূর্বার বাতাসের পালে লেগেছিল নুসরাতের আগুনের ঢেউ বাতাসে, মর্মরে ছিল পোড়া মানুষের গন্ধ। যা দূর্বার গতিতে ধেয়ে চলেছে সিলেট টু সুন্দরবন, এবং টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আর একটু হাত বাড়ালেই নিউজিল্যাণ্ড কিংবা শ্রীলঙ্কার অনামবিক হত্যায়।
তাই এবারের বৈশাখে উজিয়ে ওঠা পানিতে কইমাছ ছিলো না কোনও ছিল না রক্তজবার টকটকে লাল রং ভালবাসা লাল সাদা ডুরে পাড়ে শাড়ি আর আমে রাধা পায়েস ছিল না বাড়িতে বাঁশের বাঁশির ভেঁপু ছিল না মেলায় (ক্রমশ:)
|
ছয়দফার ছয়টা
কাজী রকিবুল ইসলাম
জাতির জাত মারে-ইজ্জতে দেয় হাত চোর বাটপার কাইড়া নেয় বাড়া ভাত,
রাজনীতির নামে যে মুজিব কোট পরে মুজিব আদর্শ দেখেছে কী কখনো পড়ে?
মুজিব কোটে বোতাম আছে কয়টা? চাটারা চেটে খাইছে একটা,
আসলে থাকার কথা ছয় দফার ছয়টা।
পিতার আদর্শে দিচ্ছে চোট তাই আজ ভোটার বিহীন হচ্ছে আমার স্বাধের ভোট খেলা দেখাল মহাজোট। |
শৃঙ্খলিত অগ্নিশিখা
শামীম বাদল
সোনালী আশার প্রতিশ্রুতি সেও আজ ভেঙে খান খান, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বুকে আমার আত্মার অগ্নিশিখা অন্তরে বিদ্যমান।
অন্ধকারে পথ চলা শুরু করে আলোর শিখা আর কতদূর? গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ছুটছি তো ছুটছি সময়ের সাথে চলা যদিও দুরূহ ব্যাপার।
হিমালয় কিংবা আইফেল টাওয়ার যদি উচ্চতার মাপকাঠি হয়, ইচ্ছাধীন ছোটাছুটি জলে-স্থলে ঈগল-বাজপাখি হাসবে নিশ্চয়।
সাগরের ঝিলমিল জলে হাঁটু অবধি নেমে গভীরতা কত বলো কি মাপা যায়? মাথার উপর স্বাধীন আকাশ ক্রীতদাসের জীবন কেউ কি মেনে নেয়।
|
আমরা আছি তোমার পিছে
মো. আব্দুল আলীম
তোমার আমার সবার শ্রদ্ধাভাজন আব্দুর রহমান গাজী ভাইয়ের শুভ আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম।
তুমি চলো আগে আগে আমরা আছি তোমার পিছে থাকব জীবনভর পাশে পাশে।
তোমার নেই কোন ভয় চলতে থাকো আগে আগে আরও আরো চলার পথ শেষ যেখানে তোমায় যেতে হবে সেখানে আল্লাহর রহমত আছে তোমার সাথে।
আরো আছে মা-বাবার দোয়া তুমি চলতে থাকো সৎ পথে জীবনের সর্বক্ষেত্রে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে আল্লাহ সাহায্য করবেন তোমায় সকল কাজে।
তুমি পারো যদি ধর্মে-কর্মে মনোযোগী হয়ে আল্লাহর হুকুম নবীর তরিকায়। |
সত্য মিথ্যা
রেজাউল করিম রোমেল
আমি সত্য সন্ধানী সত্যের গান গাই সত্য বলতে করিনা কভু ভয়। সত্য বড়ই তিতা, অপ্রিয় সত্য আরো বেশি তিতা তবু আমি সত্য পিপাষু। সত্যের জয় হোক, সত্যের জয় হোক, সত্যের জয় হোক, মিথ্যা ধ্বংস হোক, মিথ্যা ধ্বংস হোক, মিথ্যা ধ্বংস হোক, ধর্মের নামে মারামারি হানাহানি নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ হোক আমি সৎ ধর্ম যাজক সৎ আলেম হুজুরের কথা বলছি না, কিন্তু যারা ভন্ড ধর্মযাজক, ভণ্ড মাওলানা আলেম হুজুরের ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার বন্ধ হোক, ধর্মান্ধতা দূর হোক, যাবতীয় অন্যায় দেশে দেশে যুদ্ধ, অশ্লীল কার্যক্রম বন্ধ হোক। পৃথিবীটা ফুলে ফুলে ভরে যাক, নেমে আসুক শান্তি হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গড়ে তুলি একটি সুন্দর পৃথিবী এটাই হোক আমাদের কামনা ও বাসনা। |
চেতনাবোধ এখন বড় তলানীতে
আমিরুল ইসলাম রন্টু
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এখন আজব সমস্যায় নানা প্রশ্নে কাজে-কামে বাঙালিরা আজ বড় অসহায়। যে কারণে বাঙালি সেদিন হাতে অস্ত্র তুলে নেয় মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ইজ্জত এখন যায়যায়। সে উদ্দেশ্য হয়নি পূরণ হচ্ছি আমরা জেরবার স্বাধীন জাতি কাঁপছে সদা- সর্বদা বড়ই থরথর। ত্রিশ লাখ শহীদের চরম আত্মত্যাগ কি যাবে বৃথা? শহীদের মর্যাদার উচ্চতা কি আদৌ পৌঁছাবে সেথা? মার খেয়ে খেয়ে আমরা নামব নীচে পাদানিতে? জাতির জনকের বাঙালি কি খাবি খাবে তলানীতে? জনক কন্যার বাংলাদেশ এখন বড় উচ্চতায় তাতে কি- এখনও আমাদের অনেক কিছু যায়যায়। অবক্ষয়ের ভারে বঙ্গবন্ধুর বাঙালি এখন বড় ন্যূজ, আঘাতে আঘাতে শরীরের মাংসপেশি এখন তুজো। এখনো হয়নি দেশ দুর্নীতি- ভেজাল, মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত নানা অবক্ষয় করে চলেছে জাতিকে বড় নিঃস্ব রিক্ত। আল্লাহ- রাসুলের এত বড় একটা দেশ বাংলাদেশ আল্লাহর নামে পশ্চিমে ফেলি যত মাথা এখনো বেশ। কিন্তু মঙ্গল চেতনা কি তলিয়ে যাবে অতল গভীরে মালিক প্রদত্ত চেতনাবোধ এখনো বড়ই তলানীতে। |
নকলনবিশ
শংকর নিভানন
হাতে নিয়ে বাঁশি আর ঘাড় ভরা চুল, রাখলেই হয় কি সে কবি নজরুল? গোঁফ দাড়ি চুল রেখে জেগে দিনরাত লিখলেই হয় কি সে কবি রবীন্দ্রনাথ? লাল থান ফতুয়াতে ভরে সারা গায় একতারা বাজালে কি লালন তারে কয়? যেখানে যে শোভা পায় সেই সেথা রয় নেতাজীর টুপি পরে নেতা কেবা হয়? বেশ করে বেশ ধরে আসল কে হয়? নকলনবিশ বাঁদর তার পরিচয়।
নিজে নিজে সাজা বাবু-বাবু সে হয় না ফিটফিটে বাবু হলে সঙ ছাড়া কয় না। সেই সঙ সেজে বলো ঢঙেতে কি লাভ? ভাব নেই তবু দাও মহাজ্ঞানী ভাব। সেই ভাবে মশগুল হাসি আর ঠাটেঁ এইভাবে দিন রাত মিছেমিছি কাটে। দেশ-কাল-পাত্র আজ হলো যে উজাড় বসে গেছে নকলের রকমারি বাজার। টেনে টেনে কত দূরে নিয়ে যাবে আর? ঘাড়ে ঠিক চেপে যাবে পাষাণের ভার।
|
জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিল
সাধন কুমার অধিকারী
জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিল, জ্ঞানপাপীরা সব শয়তান মনের মধ্যে লোভী রাক্ষুসী কুরে কুরে খাচ্ছে ইনসামিয়াত ইনসান।
দেহের জমিনে লোভের আগুন পিপাসা মেটাতে চায় খুন, এর নেই কোন নিদান।
মানুষের মাঝে থাকে পশু সেতো এক হিংস্র পিপাষু।
সীমানা ছাড়িয়ে ছন্দপতন জীবন সৌন্দর্যের হয়েছে মরণ, সুন্দর ভেঙ্গে হয়েছে খান খান।
জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিল জ্ঞানপাপীরা সব শয়তান।
|
দিবাকর
লায়লা বেগম
দুনিয়ায় যত কিছু সৃষ্টি করেছ তুমি সবাই সেটা মানি, দেখিনি তোমায় আমি। দিলে সূর্য, হলো আলোকিত সারা দুনিয়া-জাহান। দেখি জলে আরও ডাঙায় সাপ, মাছ, ব্যাঙ ফুল ফলে ভরে আছে। যেদিকে তাকাই দেখি শুধু তোমায় তুলনা তার নাই। আকাশ আমাদের দেয় বরষা ৱপ্রকৃতি হয় সুজলা সুফলা বরষার দিনে ভালো জানি যে তোমার প্রয়োজন কত? ঘুরে বেড়াও আকাশে তুমি বিশ্ব ভরো বাতাসে, জীব জগত বাঁচে তোমারই করুণায় কোথায় নেই তুমি? মহান আল্লাহ পাঠালে তোমায় ধরণী সাজাতে যে। |
ফণির তাণ্ডব
গোলাম রসুল
ফণি আসছে প্রলয় নিয়ে হিংস্র দানবের মতো মেঘের ছুটোছুটি বিজলির চমকানি সাথে বজ্রপাত। শিলাবৃষ্টি ঝড় জলোচ্ছ্বাসের প্রচণ্ড দাপটে কত বাড়িঘর হবে চুরমার ঝরে যাবে প্রাণ। নিষ্ঠুর পাষাণের মত ধ্বংসযজ্ঞে উত্তাল ক্ষমাহীন নির্দয় আকুতি মিনতির নেই স্থান। শংকিত মানবকূল প্রাণভয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যপ্রাণী পশু পাখি সবই আজ নির্বাক। লক্ষ কৃষকের স্বপ্ন পড়ে আছে মাঠে নিরাশার আগুন জ্বলছে বুকে আসবে কিনা ঘরে। হতাশায় নেই তাদের নাওয়া-খাওয়া-ঘুম শান্তির বদলে অশান্তির অনলে হচ্ছে পুড়ে ছাই। হে দয়াময়, ফণির ফণা তুমি করে দাও খণ্ড-বিখণ্ড মিশিয়ে দাও অথৈ সাগরের গভীর জলে। তুলে দুটি হাত করি ফরিয়াদ তোমার দরবারে বাঁচাও প্রাণিকুল ফণিকে করো বিনাশ।
|
তৃষা ট্রাজেডি
মুস্তাফিজুর রহমান
হায়রে নরপশু… তোর চাওয়াটাই বড় করে দেখলি, নিষ্পাপ শিশুটাকে এভাবে রক্তাক্ত করলি। কেড়ে নিলি পবিত্র একটি প্রাণ, কি করে পারলি দিতে জলাঞ্জলি মান-সম্মান।
তোর এ অন্যায় তোর এ অপরাধ তোর দূষিত মনের ভয়ঙ্কর সাধ কখনো নয় ক্ষমাযোগ্য। ফুলের মত পবিত্র তৃষার সর্বনাশ করে জান্নাত হারিয়েও হয়েছিস বোকা যা তোর চরম দুর্ভাগ্য, হায়রে পাপী কোথায় তোর মনুষ্যত্ব কোথায় তোর মানব হওয়ার মহত্ব? মানুষ হয়েও পশুর মত করলি কাজ শত ধিক্কার জানাই তোকে আজ।
হে খোদা তুমি ফুলের মত পবিত্র তৃষাকে জান্নাতবাসী করো… হে বিধাতা তুমি পথভ্রষ্ট নরপিশাচ দিককে হেদায়েত নসীম করো… |
আজও হাঁটি পাশাপাশি
হুমায়ুন কবির
সেই তুমি আর এই আমি আজও হাঁটি পাশাপাশি অন্ধকারে গা ঘেঁষাঘেষি। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে আরো আগে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস যায় মিলেমিশে পরম নির্ভরতায় আমরা পথ হাঁটি নিশ্চিন্তে। বইগুলো ধরে আছি আমরা খুব যত্নে বুকের সাথে স্যারের বাড়ি থেকে পড়ে ফিরছি এই রাতে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাস্তার দুইপাশে বনে বনে জোনাক জোনাকিরা ঘুরছে জুটি বেঁধে। ভালবাসার কত কথা কি ভাষায় শতরূপা রচে তারা যাচ্ছে রূপে রূপে রূপকথা। জোনাকির আসবে বনের বাসরে সুন্দরী শ্যামলী অপরূপ রূপ তোমার সাধ্য কি ঢেকে রাখে অমানিশার অন্ধকার। বুনো ফুলের তীব্র সুগন্ধের বান কেড়ে নিচ্ছে মনপ্রাণ। ভুতুড়ে বাঁশঝাড় ঝুকিয়ে ঘাড় তার দাঁড়িয়ে আছে এক পাশে রাস্তার। আমাদের নেই সময় তাকে তোয়াক্কা করবার নির্জন অন্ধকার গ্রামের নেই কাঁচা রাস্তার স্মৃতি আজও আছে টাটকা একেবার।
|
আলাপে শিল্পী ও কবি
চয়ন বাবু কর
শিল্পী বলল, কবি তুমি লেখ একটা গান কবি: গান গাহিয়া জুড়িয়ে দাও সবার মনে প্রাণ কবি গান লিখে বলল, শিল্পীর হাতে দিতে চলল। কবি বলল, এই যে গান- দাও এবার সুর গানের সুর এমন হবে কষ্ট হবে দূর। কবি বলল, শিল্পী এভাবে গাহিয়া যাও গীতি, সুরের মধ্য ফুটিয়ে তোলো নৈতিকতার নীতি। গাহিয়া গীতি শিল্পী বলল, কবিতা বানাও কবি, কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তোলো মাতৃভূমির ছবি। শিল্পী বলল, তোমার কবিতা পাঠ করে লাগে অনেক ভালো, কবিতা লিখে সবার মাঝে জ্বালাও জ্ঞানের আলো। |
আমাদের দাবি
মো. আমিরুজ্জামান
মানিনা মানবো না আমাদের দাবি আট ঘন্টা কাজের বিনিময়ে ন্যায্য শ্রমের মুজুরির দাবি। নিরন্ন মানুষের বেঁচে থাকার দাবি আমাদের প্রাণের দাবী। সংগ্রামী শ্রমিকের ন্যায্য অধিকারের ন্যায়- সংগত দাবী।
আমাদের দাবি কোন শাসক শ্রেণী ধনিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে নয়। কারো জমা জমির বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে নয়।
সত্য ন্যায় ন্যায্য শ্রমের মূল্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে তাদের বুকে গুলি যারা শোষণ করে তাদের বিরুদ্ধে।
অবহেলিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অপমানিত নিগৃহীত করে যারা অমানবিক ব্যবহার করে যারা নিষ্ঠুর আচরণ করে বিনা বিচারে নির্বিচারে হত্যা করে তাদের বিরুদ্ধে।
|
ফণী
মো. নাসির উদ্দীন
ঘূর্ণিঝড় ফণী আসবে বাংলার অভ্যন্তরে এই খবরে বারে বারে আঘাত হানছে অন্তরে। ভয়ে পরাণ থরথর কখন ওঠে ঝড় বজ্রাঘাতে আসমান জমি করিয়া কড়কড়। মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে দ্রুত আসছে ধেয়ে মোকাবেলা করবে সেথা সরকারি লোক যেয়ে। সেতো নির্মম নিষ্ঠুর বড়ই পাষাণ আঘাত হানে প্রাণ কাড়ে চালায় তুফান। বসতভিটা তছনছ করে ফসলের ক্ষতি কারো দিকে চায় না ফিরে তীব্র চলার গতি। উঁচু করে আনবে তুলে ভয়াল জলোচ্ছ্বাস পারবে না কেউ পড়লে তাতে ছাড়িতে নিঃশ্বাস। সর্তকতা জারি সংকেত হুঁশিয়ারি মোকাবেলা করে যদি প্রাণে বাঁচতে পারি। সব ফেলে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে যায় দূরবর্তিরা দূর থেকে করে হায় হায়। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের যত ঝড় এসেছে নৃসংসভাবে বহু প্রাণ নিয়ে চলে গেছে। প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি এই অন্তরে ঢুকাইওনা এমন ফণী দেশের অভ্যন্তরে। |
সোনার গ্রাম
জিহাদ হাসান হৃদয়
স্বপ্ন মাখা গায়ে, পরীর মত কন্যা সকলের মুখে খুশির হাসি যেন সুখের বন্যা। গগণ জোড়া মেঘের ভেলা নিচে সরু নদী হীরার মতো স্বচ্ছ জল পাড়ে মঙ্গল বেদী। নাই কোনো জাত ভেদাভেদ সকলে তারা ভাই, হিন্দু-মুসলিম বিভেদের কালিমা তাদের মাঝে নাই। শীতল জল, শীতল হাওয়া বয়ে চলে নিরবধি- গঙ্গারাম গাঁয়ের মাঝে নবগঙ্গা নদী
|
যৌতুক কৌতুক
মহব্বত আলী মন্টু
নারী-পুরুষ সংসারে আছে সম অধিকার পুরুষ হয় নির্যাতিত নেই কোন প্রতিকার। নাস্তার টেবিলে বউ করে জ্বালাতন, কতদিন বলেছি টিভিটা পুরাতন। এই মাসে যেভাবে নতুন একটি টিভি চাই, বিয়ের আগে বলেছিলে যা চাও দেবে তাই। চুপচাপ খেয়ে উঠে স্বামী যায় কর্মে, রাগ নাকি হারাম হয় লেখা আছে ধর্মে। ভেবে ভেবে চিন্তার রেখা ভাসে ললাটে, কি করে যে সংসার রাখবে সে মলাটে। অবশেষে ঋণ নিয়ে টিভি কেনে বাড়িতে, হেঁটে হেঁটে কাজে যায় কভু ভাঙ্গা গাড়িতে। দুই মাস পেরোতেই বউ ধরে বায়না, গত মাসে বলেছিলে কিনে দেবে গয়না। পড়ে গিয়ে ভেঙেছে ড্রেসিং-এর আয়না, এনে দিতে হবে আজ দেরি আর সহে না। স্বামী বলে কয় দিন দেরি করো ময়না, কথা শুনে সারাদিন বউ কথা কয় না। কিছুদিন পরে কয় ডাইনিং এর কোনাটা, ফাকা আছে বহুদিন ও আমার সোনাটা। |
হয়েছি কবি
সালমা খাতুন
বুকের ভেতর অন্তর তার ভিতর অন্ধকার ভেতরে সাজানো বন্ধ ঘর সেখানে বসবাস তোমার।
সেখানে আছে সব নেই কোন অভাব শুধু তুমি নীরব আমাদের হলো না ভাব।
দুই নয়নের স্বপন করেছি বপন হবে অনেক বড় জীবনে স্বপ্ন অহরহ।
বুকের ঘুমন্ত হবি আমি হয়েছি কবি তুমি বলবে কথা হবে আমার কবিতা।
তুমি ঘুমন্ত ঘেরা আছে সীমান্ত তুমি বলবে না কথা ভাঙবে না নীরবতা। |
মরু কিশলয়
মোঃ শরিফ উদ্দিন
আশামনি চাঁদ দেখিনি জ্যোৎস্না ছুঁয়েছে, পক্ষাঘাতে অকালে তার বাবা মরেছে। কিস্তির ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে তার বস্তিঘরে। সকাল সাঁঝে মায়ের সাথে দেখা যদিও মেলে, সারাটা দিন বাধা থাকে শক্ত দড়ি দিয়ে। টলমলিয়ে হাঁটতে পারে আধো আধো কথা বলে, যা হাতে পায় তাই খেতে চায়। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যাবেলায় মা ফিরে তার দুধ খেতে দেয়, পরম সুখে গভীর ঘুমে আশামনি সব ভুলে যায়।
|
সিয়ারি নিবাস
মো. সামসুজ্জামান
শিয়ারী নিবাস এই আমার শান্তি সোহাগের স্বর্গীয় বাস, ভালবাসার আবেশ ছড়ানো মধুর বাতাস। এখানে সবুজের সমারোহে সতেজ অনুভূতি বহে দিন রাত স্নিগ্ধ সুন্দর শ্যামল প্রকৃতি। পাখি ডাকা প্রভাত বেলায় মানুষের কোলাহলে এখানে রাতের ঘুম ভাঙ্গায়। শান্তি সুখের উল্লাসে জীবনের স্বপ্ন মধুর ধ্যানে শিয়ারী নিবাসে কাটে আমার জীবনের অবসর সময়।
|
ভৈরব নদী
বৈদ্যনাথ মণ্ডল
ওরে দেখবি যদি চল যশোরে এসেছে গাঙ কাটা কল ভৈরব নদী আমাদের নয়নের আলো মজার গাঙ কাটা দেখতে লাগে ভালো দেখার তরে দুই পাড়ে নর-নারীর নেমেছে ঢল। দুই পাড়ের যত তরুলতা বৃক্ষাদি আর কেটেকুটে ভেঙেচুরে তারা করিল চুরমার এবার শেখ হাসিনা আনবে নাকি উন্নয়নের জোয়ারের জল। দুই ধারে ছেলে মেয়ের হবে বিয়ে যাবে তারা শ্বশুরবাড়ি পানসি নৌকা দিয়ে মাঝিমাল্লা গাইবে গান উড়াইবে রংবেরঙের পাল। “দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি” মাঝখানে হল খাল ও নদীরে কেউ কইতে পারে না তোর বয়স কত কাল শেখ হাসিনার দুইটি বাহু দুইটি কর যশোরের রত্ন নাবিল আহমেদ আর চাকলাদার এবার যশোর বাসী বড়ই খুশি হাসি ভরা গাল। |
বাংলাদেশের প্রকৃতি মোস্তানূর রহমান স্বাক্ষর
সবুজের মাঝেই হলো আমাদের বসবাস, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ কখনো গরমে মধুর চেয়েও মিষ্টি ফল বর্ষায় ঝড়ে ভেঙে দেয় সব-সবকিছু শরতের কাশফুল কখনো আবার কৃষকের মুখে হাসি ভর উঠেছে ধান কখনো বসন্তের মধুময় বাসার এভাবে আসা-যাওয়া ছয়টি ঋতুর এই প্রকৃতির লীলা নিকেতনে মাঝে আমাদের বসবাস। |
চলি জানতে হবে
মো. ইলিয়াছ শাহ
সবাই মিলে আমরা চলি স্কুল-কলেজ পাঠ শলাতে ভালো করে পড়তে হবে মা-বাবারা জানতে পারবে মাসিক সাপ্তাহিক পরীক্ষার রেজাল্ট হলে। শুধু টাকার লোভে টিউশনি করলে ওই স্কুলের মাসিক সাপ্তাহিক পরীক্ষার খাতাগুলি কল করলে ছাত্র-ছাত্রীর মা-বাবারা সচেতন হলে কে বা কারা ভুল করেছে সঠিক খবর জানতে পারলে শিক্ষা অফিসের তথ্য পেলে। সবাই সঠিক দায়িত্ব পালন করবে তবেই বাংলার বই মানুষেরা আলোকিত হবে বাংলায় সুন্দর দায়িত্ব পাবে? |
তুমি আসবে ঠিকই
শরিফুল আলম
তুমি আসবে ঠিকই যখন আমি থাকবো না পৃথিবীতে কইবে না বেদনার সুরে আবেগঘন আকুলতায়।
ব্যাকুল হয়ে তুমি হবে দিশেহারা আমাকে ছুঁতে চাইবে তবুও পারবেনা বেদনায় নীরবে চেয়ে দেখবে শুধু অপলক কাঁদবে হৃদয় তোমার জানবে না কেউ।
|
মুক্তিযোদ্ধা শ্রাবণী আক্তার উর্মি
মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের, স্মরণীয় কাহিনী যা থেকে শিক্ষা নিয়েছে পাকিস্তান বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস, থাকবে চিরকাল। যা থেকে শিক্ষা নেবে, আগামী শিশুর দল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সবাই, যুদ্ধে দিল ঝাঁপ। তাই দেখে পাকিস্তানিরা, বললো বাপরে বাপ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে, বাঙালি পেল সাড়া। বঙ্গবন্ধুর কালজ্বয়ী ভাষণ, তাদের করে তাড়া। রাজাকার আর আলবদর, নিস্তার নেই যে আর। তাইতো সবাই ছুটে পালালো, বাংলাদেশ হয়ে পার। মুক্তিযুদ্ধ সবার কাছে, স্মরণীয় ঘটনা বাঙালি জাতি বেঁচে থাকতে কখনো ভুলবে না। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির কাছে, মনে রাখার স্মৃতি। মুক্তিযুদ্ধ শহীদের, আত্মত্যাগের দিঠি। মুক্তিযুদ্ধের রক্তে রাঙানো, রাজপথের ঐ মোড়। যার কারণে ছেয়ে গেছে, বেদনায় মায়ের কোল। মুক্তিযুদ্ধ শহীদের, রক্ত দিয়ে কেনা। জীবন থাকতে বাঙালি জাতি, কখনো ভুলবে না। আত্মত্যাগের স্মৃতিতে গাঁথা, বঙ্গবন্ধুর নাম। শেখ হাসিনা দিয়ে যাচ্ছে, তারই প্রতিদান। |